নাটোরের বাগাতিপাড়ায় কুকুরের কামড়ে দুই দিনে অন্তত আটজন আহত হয়েছে। বেওয়ারিশ এসব কুকুর নিধনে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
কুকুরের কামড় থেকে রেহাই পেতে লাঠি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন-সুবিধা না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার খন্দকার মালঞ্চি, নূরপুর চকপাড়া এবং মল্লিকপুর গ্রামে একের পর এক কুকুর কামড়াচ্ছে মানুষকে। এতে এসব এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু গতকাল রবিবার এ তিনটি গ্রামের তিন শিশুসহ অন্তত আটজন কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া মানুষের পাশাপাশি কুকুরের কামড়ের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ওই গ্রামের গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিও। কুকুরের কামড়ে আহত আটজন হলেন খন্দকার মালঞ্চি গ্রামের মৃত মজাহারের ছেলে অচেল মণ্ডল (৬৫), মৃত ওমর আলীর ছেলে সাখাওয়াত সাকু (৬৫), আ. মতিনের মেয়ে স্কুল ছাত্রী ছুম্মা (১০), রকিব উদ্দিনের মেয়ে সামিয়া (৭), নাসরুলের মেয়ে সোনালী (৮), মল্লিকপুর গ্রামের বেন্টুর স্ত্রী বিউটি (৩০) এবং বাজিতপুর এলাকার দুই নারী পথচারী।
আহত সামিয়ার বাবা রকিব উদ্দিন জানান, কুকুরে কামড়ের পর তিনি ভ্যাকসিনের জন্য বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া কথা ভেবেছেন। কিন্তু স্থানীয় একজনের কাছে শুনেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসব ভ্যাকসিন পাওয়া যায় না। তাই তিনি নাটোর সদর হাসপাতালে যাবেন। বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রবি শংকর মণ্ডল বলেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন সরবরাহের সেবা চালু করা নাই। ” তবে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেখান থেকে এই সেবা নিতে পরামর্শ দেন তিনি।
