নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেদেশে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কখনোই শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা দেয়নি বলে সংসদে জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য মোঃ মুজিবুল হকের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেদেশে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কখনোই শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা প্রদান করেনি। তবে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এমএফএন নীতির আলোকে গার্মেন্টস পণ্যের উপর আরোপিত আমদানী শুল্ক হার বাংলাদেশ এবং অন্যান্য প্রতিযোগী দেশসমূহের জন্য অভিন্ন। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধার আওতায় থাকাকালীন সময়েও গার্মেন্টস পণ্য এর আওতা-বহির্ভূত ছিল। এই সুবিধা ব্যতিরেকেই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির একক বৃহত্তম বাজারে পরিনত হয়েছে। বিগত ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি যুক্তরাষ্ট্র তাদের জিএসপি পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন করেনি। জিএসপি সুবিধা পুনরায় চালু হলে তাতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি এবং সেক্ষেত্রে গার্মেন্টস পণ্যকেও জিএসপির আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রবাৎসরিক বাণিজ্য সংলাপ (টিআইসিএফএ)-এও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিয়মিত ভাবে এ দাবী উত্থাপন করা হয়। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা তুলা দিয়ে উৎপাদিত গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের দাবীও বাংলাদেশ সরকার উত্থাপন করেছে। এ কথা উল্লেখ্য যে, কোন বিশেষ আঞ্চলিক চুক্তি/সহায়তা কার্যক্রম যেমন ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্রসমূহের জন্য ক্যারিবিয়ান বেসিন ইনিসিয়েটিভ (সিবিআই) কিংবা সাব-সাহারান রাষ্ট্রসমূহের জন্য আফ্রিকান গ্রোথ এন্ড অপচুনিটি অ্যাক্ট (এজিওএ) এর মত বিশেষ ব্যবস্থা অথবা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ব্যতীত কোন দেশই সাধারনত যুক্তরাষ্ট্রে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানীতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না।
এমপি মো.মুজিবুল হক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ কাছে যা জানতে চেয়েছে-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূলনীতিগুলির মধ্যে (১) প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা; (২) বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং বিশ্ব বাজারে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। বিশ্বে গার্মেন্টস পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়।
