ফটিকছড়িতে রহস্যজনকভাবে নিহত গৃহবধুর দাফন সম্পন্ন : পরিবারের অভিযোগ হত্যা

আলমগীর নিশান : ফটিকছড়ি,চট্টগ্রাম :
ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরে রহস্যজনকভাবে নিহত গৃহবধু সীমা আক্তার (১৮ )’র লাশ দাফন করা হয়েছে।
২৪ শে সোমবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের রক্তছড়িকুল এলাকায় তার নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়েছে । জানাযা শেষে নিহতের বাবার বাড়ীতে তার লাশ দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ২৩শে জুন রোববার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে গৃহবধু সীমার লাশ উদ্ধার করে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ। এর আগে রোববার বিকাল ৩ টায় সীমার লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন।
নিহতের শ্বাশুড়ী হোসনে আরা বলেন, ‘দুপুর ২ টার দিকে ঘরের ভিমের সাথে সীমার দেহ দেখতে পেয়ে আমার ছেলেকে (নিহতের স্বামী) খবর দিই। পরে ছেলে আর আমি তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিভাবে মারা গেলো তা জানি না।’
নিহত গৃহবধুর মা ঝিলু আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার শ্বাশুড়ী প্রথমে আমাকে ফোনে জানান, আপনার মেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে। পরে বলেন, আপনার মেয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তারা একেকবার একেক ধরনের খবর দেন। আমরা হাসপাতালে গিয়ে তার মৃত লাশ দেখতে পায়। এ ঘটনায় আমরা হত্যা মামলা দায়ের করছি।’
নিহত গৃহবধু ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের রক্তছড়িকুল এলাকার বাসিন্দা মো. ইউনুসের ছেলে দুবাই প্রবাসী  মো. শওকত প্রকাশ রমজান আলীর স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের বাসিন্দা জৈনক করিম উদ্দীনের মেয়ে।
জানা যায়, মাত্র ৯ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউনুসের ছেলে রমজান আলীর সাথে নিহত গৃহবধু সীমার বিয়ে হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যেই সাংসারিক মনোমালিণ্য লেগে ছিলো। বিয়ের পর গেল রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে অবস্থান করছেন নিহতের স্বামী রমজান আলী। ঘটনার পর থেকে রমজানী আলী পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার এস.আই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ যুবক নিহত
পরবর্তী নিবন্ধভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যায় গ্রেফতার ৫