নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রযুক্তির অপরাধ প্রযুক্তি ছাড়া মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে প্রযুক্তি ব্যবহারকারী, নিয়ন্ত্রক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ত্রুটিমুক্ত রাখতে সিম নিবন্ধন ও কেওয়াইসি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ত্রুটিমুক্ত এবং গ্রাহকদের ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারের ন্যূনতম দক্ষতা থাকলে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসসহ বিদ্যমান বিভিন্ন ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব।
বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ‘দ্য স্টেট অব ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কনজিউমার প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের ফলাফল বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী দেশের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রসারকে একটি বিস্ময়কর অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সমাজের যেসব সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষ করে যেসব প্রান্তিক কৃষক, জেলে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংক পৌঁছাতে পারেনি, তাদের মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা পৌঁছে গেছে।
তিনি ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কনজিউমার প্রটেকশন বিষয়ক গবেষণা ফলাফলকে অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই গবেষণা প্রচলিত ব্যবস্থায় বিদ্যমান ত্রুটিগুলো সমাধানে নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে। এজন্য তিনি গবেষণা প্রকাশের জন্য পিআরআইকে ধন্যবাদ জানান।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রসারে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস পৃথিবীর কাছে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনাঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবী ডিজিটাল হচ্ছে- এটি থামানোর উপায় নেই। চাই বা না চাই ডিজিটাল হতেই হবে।
গত ১৩ বছরে ডিজিটাইজেশনের ধারাবাহ্তিায় দেশের মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তনকে অভাবনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পাশাপাশি ডিজিটাল কমার্সের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করাটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এমন একটা সময় আসবে যখন ব্যবসা-বাণিজ্য বলতে ডিজিটাল বাণিজ্যকেই বোঝাবে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনকে নিরাপদ রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে পিআরআই’র নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আহসান মনসুর, অ্যামাজনের বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা বিষয়ক কান্ট্রি ডিরেক্টর ওলফগ্যাং হেইনজি, বিকাশৈর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন শিপন, ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবিরসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই’র গবেষক ড. আশিকুর রহমান।
