স্পোর্টস ডেস্ক : ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় বাংলাদেশ।
বৃষ্টির কারণে সোমবার ম্যাচটি মাঠে গড়াতে পারেনি। সে কারণে আজ রিজার্ভ ডেতে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আজও ছিল বৃষ্টির দাপট। হংকং এর মিশন রোড গ্রাউন্ডে বৃষ্টির কারণে সেমিফাইনাল নেমে আসে ৯ ওভারে। বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে নিদারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। তারপরও ৭ উইকেট হারিয়ে ৯ ওভারে ৫৯ রান তোলে। জবাবে ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তানের মেয়েরা। ৬ রানের জয়ে প্রথমবার আয়োজিত ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে নাম লেখায় লতা-মুর্শিদারা।
আগের দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ভারত চলে যায় ফাইনালে। আগামীকাল ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা।
এদিন টস জিতে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নামে। কিন্তু বৃষ্টি ভেজা পিচে পাকিস্তানের বোলারদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে। ৯ ওভারে খেলা হওয়ায় মেরে খেলতে গিয়ে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ৪ রানে প্রথম, ৫ রানে দ্বিতীয় ও তৃতীয়, ৮ রানে চতুর্থ, ১৩ রানে পঞ্চম ও ১৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাথী রাণী ৪, শবনম মুস্তারি ০, অধিনায়ক লতা মন্ডল ০, মুর্শিদা খাতুন ১, স্বর্ণা আক্তার ৪ ও দিলার আক্তার ৪ রান করে আউট হন।
সেখান থেকে নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান প্রতিরোধ গড়েন। তারা দুজন সপ্তম উইকেট জুটিতে দলীয় সংগ্রহে মহামূল্যবান ৩৭ রান যোগ করেন। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় নাহিদা ফেরেন ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ২১ রান করে। রাবেয়া অবশ্য আউট হননি। তিনি ২০ বলে অপরাজিত ১০ রানের ইনিংস খেলেন। আর সুলতানা খাতুন ২ বলে ১ ছক্কায় ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে বাংলাদেশ ৯ ওভারে ৫৯ রানের সংগ্রহ পায়। শেষ বলে সুলতানা খাতুনের হাঁকানো ছক্কাটিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
বল হাতে পাকিস্তানের ফাতিমা সানা ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আর আনোশা নাসির ২ ওভারে ৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে অপর উইকেটটি নেন তুবা হাসান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয় পাকিস্তানের মেয়েদের। ৩.৫ ওভারেই তারা তুলে ফেলে ২৬ রান। কিন্তু এরপর বাংলাদেশের মেয়েরা দারুণভাবে চেপে ধরে পাকিস্তানকে। নিয়মিত বিরতিতে তুলে নিতে থাকে উইকেট। তাতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন হয় ১৩ রান। কিন্তু ফাতিমা সানা ও সায়েদা অরুব শাহ ৬ রানের বেশি নিতে পারেননি।
ব্যাট হাতে আইমান ফাতিমা ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন। শাওয়াল জুলফিকার করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান। অধিনায়ক ফাতিমা সানা ৮ বলে ১ চারে অপরাজিত ১০ রান করেন। তিনি চেষ্টা করেও দলের হার এড়াতে পারেননি।
বল হাতে রাবেয়া খান ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার।
ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ২১ রান ও বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাহিদা আক্তার।