ভারতের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র অনিমেষ বক্সি। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করত সে। পাঁশকুড়ারই এক তরুণীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, ওই তরুণীর মোবাইল ফোন থেকে মেমোরি কার্ড চুরি করে তাঁর নগ্ন ছবি নিজের মোবাইলে নিয়েছিল অনিমেষ। তারপর সেই ছবি, প্রেমিকার নাম-ঠিকানা পোস্ট করেছিল পর্নসাইটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গত ২১ জুলাই পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই তরুণীর পরিবার। তার ভিত্তিতে সিআইডি অনিমেষকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বৃহস্পতিবার অনিমেষের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে তমলুক আদালত।
মামলার তদন্তকারী অফিসার সিআইডি’র সাইবার ক্রাইম শাখার অতিরিক্ত ওসি অতনু সাঁতরা। আর তমলুক আদালতে মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ওই মামলায় গত সপ্তাহে তমলুক আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি।
আগামী সোমবার মামলার চার্জ গঠনের কথা। তারপরই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। গতকাল তমলুক আদালত অনিমেষের জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় সে জেলে থাকাকালীন মামলার বিচার শুরু হবে।সূত্রের খবর, ওই তরুণীকে অনেক দিন ধরেই তার সঙ্গে দিঘা যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল অনিমেষ। কিন্তু তরুণী রাজি ছিলেন না। অনিমেষ তখন প্রেমিকাকে বলেছিল, দিঘা যেতে রাজি না-হলে বিকল্প প্রস্তাব মানতে হবে।
বিকল্প প্রস্তাবটি ছিল, ওই তরুণী তাঁর একটি নগ্ন ছবি নিজের মোবাইল ফোনে তুলে রাখবে। অনিমেষ চাইলেই সেটি দেখাতে হবে। চাপের মুখে সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলেন তরুণী। এরপর সুযোগ বুঝে প্রেমিকার মোবাইল থেকে মেমোরি কার্ড চুরি করে ছবিটি নিজের মোবাইলে নিয়েছিল অনিমেষ। সূত্র: এবেলা
