নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিজস্ব অর্থায়নে অবকাঠামো উন্নয়নের সক্ষমতা অর্জন করেছে দেশ। রিজার্ভের টাকায় অবকাঠামো গড়ে উঠলে বিদেশি ঋণের দিকে আর তাকাতে হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রিজার্ভের টাকাটা বৃদ্ধি পেয়েছে, আমাদের রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে। রিজার্ভের টাকাটা আমাদের উন্নয়নের কাজে কীভাবে ব্যয় করতে পারি, সেটাই আমরা চিন্তা করেছি। বারবার শুধু হাতপাতা বা অন্যের কাছে ধার না করে আমরা আমাদের নিজেদের অর্থ দিয়েই নিজেদের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারি। বা সেখান থেকে আমরা যারা এখানে বিনিয়োগ করতে আসবে, দেশি-বিদেশি যারাই আসুক তাদের যে ঋণ নেওয়ার যে প্রচেষ্টা সেটা আমাদের নিজেরা নিজেদের অর্থ থেকেই আমরা ব্যয় করতে পারি।
সামাজিক সূচক থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। সব কটিতেই অভাবনীয় উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।
দেশে বর্তমানে যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে তার অধিকাংশই বিদেশ থেকে নেয়া ঋণে। বড় অবকাঠামোর মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করতেও বিদেশ নির্ভরতা কমানোর পথে হাঁটছে সরকার। করোনাকালের ধাক্কা সামলেও রেমিট্যান্সে ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথম বারের মতো ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
রিজার্ভের টাকা থেকে উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে এবার বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল নামে নতুন একটি তহবিল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হয়ে এ তহবিলের কার্যক্রম চালু করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে আমাদেরকে নিজের পায়ে চলতে হবে। নিজেদের অর্থায়নে কাজ করতে হবে। আমরা আমাদের দেশকে উন্নত করব। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে অবকাঠামো উন্নয়ন করা সক্ষমতাও অর্জন করেছি।
দেশের উন্নয়নে নিজস্ব অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে মর্যাদা বাড়াতে হবে জানিয়ে এই তহবিল থেকে পায়রা বন্দরের উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
এর আগে, এ নতুন তহবিলের আওতায় রাবনাবাদ চ্যানেল খননের মাধ্যমে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য অর্থ বিভাগ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সোনালী ব্যাংকের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করেন সংশ্লিষ্টরা।
