স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব আল হাসান ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটে ভর করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪৪ রান করেছে বাংলাদেশ। চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিতে দুর্দান্ত বোলিং করতে হবে সাকিব- মাশরাফি-মোস্তাফিজদের।
বুধবার লন্ডনের কেনিংটন ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাকিব। ইনিংসের শেষ দিকে ২৩ বলে ২৯ রান করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ম্যাট হেনরি।
এদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৪৫ রান করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া সৌম্য ২৫ বলে ২৫ রান করতেই ম্যাট হেনরির গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তামিম ইকবাল। লুকি ফার্গুনসনের বলে বাজে শট খেলেন তামিম। ৩৮ বলে ২৩ রান করে ফেরেন দেশ সেরা এ ওপেনার। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৬০ রানে ২ ওপেনারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাকিব-মুশফিক জুটিতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এই জুটিতে তারা ৫০ রান যোগ করেন।
দলীয় ১১০ রানে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। এর আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জুটিই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেছিল সাকিব-মুশফিক। বুধবার রান আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ১৯ রান করেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিক।
মুশফিক আউট হলেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান সাকিব। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রান করা সাকিব, বুধবার ফেরেন ৬৮ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৫০ আর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৪১ রানের জুটি।
বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। অবশ্য সাকিবের আগে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে গত বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩ রান করার পর এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ক্যারিয়ার সেরা ১২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রিয়াদ। তার সেই ইনিংসটি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের সেরা ইনিংস।
সাকিবের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক ও মিরাজরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে বড় ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি। শেষ দিকে একের পর এক বাউন্ডারি হায়ে ২৩ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ২৯ রান করেন সাইফউদ্দিন।
