পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক :
ব্যাকটেরিয়া মোকাবেলায় নতুন নতুন এ্যান্টিবয়োটিক আবিষ্কারে জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা। ১২ টি ব্যাকটেরিয়া পরিবারের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ বিষয়ক এই সংগঠনটি।
বর্তমানে অনেক এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে উঠেছে এসব জীবানু। ফলে মানব এই জীবানুগুলো এখন হুমকি স্বরূপ বলে মনে করছে ডঐঙ এর কর্মকর্তারা। জাতিসংঘের উদ্ভাবন বিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক ম্যারী পল কিয়ানী নতুন এ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের লক্ষ্যে গবেষণার আহ¦ান জানিয়েছেন। পরি চিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে এখন আর বাজারে এ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা অনুসারে ঐ ওষুধ উৎপাদন করলে চলবে না। কারণ ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানী শুধুমাত্র সেসব এ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করতে আগ্রহী বাজারে যেগুলোর চাহিদা আছে এবং যেগুলো বিক্রি করলে প্রচুর মুনাফা অর্জন করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা তালিকায় যেসব ব্যাকটেরিয়া উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো নিউমোনিয়া, সেপটেসেমিয়া এবং খাবারের কারনে পেটের ব্যাথার জন্য দায়ী যেগুলো।
ঢাবির ওষুধ প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অধ্যাপক আ ব ম ওমর ফারুক বলেন, ‘যে এ্যান্টিবয়োটিকগুলো আছে সেগুলো এখন জীবানুর বিরুদ্ধে কাজ করতে পারছে না। যার ফলে অসুখ ছাড়ছে না। সে কারনে নতুন এ্যান্টিবায়োটিকের দরকার’। আমাদের শরীরে থাকা জীবানু গুলো দিন দিন প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। পুরাতন কোন এ্যান্টিবায়োটিক আগের মত আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে না।
আ ব ম ওমর ফারুক আরও বলেন,‘বর্তমানে ল্যাবরেটারীতে এ্যন্টিবায়োটিক নিয়ে খুব একটা গবেষনা হ”েছ না। বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর ওষুধ কোম্পানীগুলো এখন কিভাবে মাথায় চুল গজাবে, কিভাবে যৌন উত্তেজনা বাড়ানো যায় বা যৌন রোগের ওষুধগুলো নিয়েই এখন তারা ব্যস্ত’।
৯০% ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পাণীর মার্কেট উন্নত বিশ্বে আর ৯% থেকে ১০% মার্কেটগুলো সমগ্র গরীব দেশগুলোতে। আর এ কারনেই এ্যন্টিবায়োটিকের আবিষ্কার ঠিকমত হচ্ছ না।
সূত্র: বিবিসি
