মেহের মামুন (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :
কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে লাখ লাখ ভক্তের সমাগমে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৮-তম জন্ম তিথিতে স্নানোৎসব ও মহা-বারুনীর মেলা মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে।
এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় স্নানোৎসব ও মেলা। অনুষ্ঠানটি সফল ভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্নানোৎসব এবং মেলা উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সকাল সোয়া ৯টায় হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরী ও স্নানোৎসব কমিটির সভাপতি হিমাংশুপতি ঠাকুর স্নানোৎসবের উদ্ভোধন করেন। স্নান চলবে আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। এই উৎসবকে সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় উচ্চ পর্যবেক্ষন চৌকি ও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাদের পাশাপাশি মতুয়া সংঘের ৪ শাতাধিক স্বেচ্ছাসেবক সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন।
লাখ লাখ মঁতূয়া ভক্ত ও হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্তরা পাপ মোচনের আশায় স্নান করছেন এখানে বড় বড় দু’টি পুকুরে। স্নানোৎসব উপলক্ষে ঠাকুরবাড়ির আশ-পাশে বসেছে মহাবারুনী মেলা। মেলা চলবে তিন দিন । মেলায় কুটির শিল্পের সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রীসহ রয়েছে নানা মালামালের দোকান।
হাতে বিজয় ও সত্যের লাল নিশান এবং ডাংখা (বড় ঢোল) বাজিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে মাইলের পর মাইল পথ পায়ে হেটে মতুয়া অনুসারীরা ছুটে আসেন তীর্থভূমি শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে। দুরের ভক্তরা বাস, ট্রাক, নসিমণ, ইজি বাইক, থ্রি-হুইলার ও নৌ-পথে নৌকা ও ট্রলারে করে এখানে আসছেন। ভক্তরা প্রথমে কামনা ও পরে শান্তি সাগরে (বড় আকৃতির পুকুর) স্নান করে থাকেন। সব মিলে প্রায় ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটে এই স্নানউৎসবে। পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত, নেপাল এবং শ্রীলংকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মঁতুয়া ভক্তরা এ স্নানোৎসবে যোগ দেবেন।
কাশিয়ানী থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, অনুষ্ঠানটিকে নিরবিচ্ছিন্ন করতে দুইশত পুলিশ সদস্যের একটি শিপটিং তালিকা তৈরী হয়েছে। এছাড়া কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকও রয়েছে।
