পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
আবারও ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে বীরেন্দর সেহওয়াগ। এবার অবশ্য ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে নয়। বুড়োদের মাস্টার্স ক্রিকেট ছাড়া আর সেভাবে খেলায় নেই ‘বীরু’। সেহওয়াগকে প্রচ্ছদে এনেছে তার নতুন পরিচয় পাওয়া দারুণ জনপ্রিয়তা। যেখানে ব্যাট নয়, তার অস্ত্র টুইটার!
টুইট করে সেহওয়াগ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার রসবোধের কারণে নানা সময়ে বিভিন্ন টুইটার ভাইরালও হয়। সেই সেহওয়াগকে তুলে এনেছে হিন্দুস্থান টাইমসের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ব্র্যাঞ্চ। আর তাতে সেহওয়াগ জানিয়েছেন, টুইট করে গত ছয় মাসে তার আয় ৩০ লাখ রুপি!
সেহওয়াগ বলেন, ‘টুইট করে গত ছয় মাসে আমি প্রায় ৩০ লাখ রুপির মতো আয় করেছি।’
টুইটগুলো বানের স্রোতের মতো ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও পণ্যের বিপণন কর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। সেহওয়াগের কথায়, ‘আমি টুইটারে জোকস শেয়ার করতাম। সেগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে যায়। আমার অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে, কিছু কিছু পোস্ট তো কয়েক হাজারবার শেয়ার হয়েছে। এরকম প্রচুর শেয়ার হওয়ার পর স্পন্সরদের কাছ থেকে টাকা আসতে শুরু করে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মেসি, রোনাল্ডো, নেইমাররা অনেক আগে থেকেই আয় করেন। গত বছর এ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছিল, যদি টুইটারে একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন করেন, সেই টুইট থেকে রোনাল্ডোর আয় হতে পারে দুই লাখ ৩০ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় দুই কোটি ৭২ লাখ টাকা।
সেহওয়াগের টুইটার অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখা গেছে, এরই মধ্যে তার ডিজিটাল প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের জন্য একজন লোকের নম্বরও দিয়ে রেখেছেন। সেহওয়াগ সরাসরি কোনো পণ্যের প্রচারণা করেন না সাধারণত। তার নিত্যকার টুইটের মধ্যেই এক ফাঁকে কোনো পণ্যের কথা বলে দেন। যেমন ভারতে নোট সংকটের সময় মজা করে টুইট করতে গিয়ে একটি অনলাইন লেনদেন সেবার কথা লিখেছেন টুইটে। কখনও টুইট করেছেন তিনি কোনো এয়ারলাইন্সে করে কোথাও যাচ্ছেন। দু’তিন লাইনের যে ছড়াগুলো বানান, এর মধ্যেও কখনও কখনও ঢুকিয়ে দেন বিজ্ঞাপন। সেটাই ছড়িয়ে যায় তার ৮০ লাখেরও বেশি অনুসারীর মধ্যে। আইডিয়াটা মন্দ নয়!
অবশ্য এ ধরনের ডিজিটাল প্রচারণা অনেকের কাছে নতুন হলেও এর শুরুটা কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরেই। ওয়েবসাইট।
