চক্রবৃদ্ধি হারে আর সুদ নেয়া হবে না: অর্থমন্ত্রী

সাইদ রিপন: চক্রবৃদ্ধি হারে আর সুদ নেয়া হবে না এর ফলে দেশে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বাড়ছে। আগামী বাজেট থেকে সুদ হবে সহজ ও সরল। ১০ শতাংশ হারে সুদ হলে বছর শেষে ১০ টাকা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে‘ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালক পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ব্যাংক ঋণে সুদহার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, চক্র বৃদ্ধি হারে সুদের ফলে গ্রাহকদের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ব্যাংক ঋণে দেখা যায়, তিন মাস, চার মাস ও ছয় মাসে সুদের হিসাব করা হয়। সুদের উপরে আবারও সুদ বসানো হয়। এটা আগামী বাজেট থেকে তুলে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।সুদের হিসাব আর চক্রবৃদ্ধি হারে হবে না, সরল হারে হবে। ‘

ব্যাংকে পরিচালক নিয়োগ প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংকে যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষা ভালোমতো নিয়েই ব্যাংক পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। ব্যাংক পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে আমার কাছে কোনো সুপারিশ আসলে সেটা গ্রহণ করা হবে না। যোগ্য ব্যক্তিদের হাতেই ব্যাংক তুলে দেয়া হবে।’

ব্যাংকে ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে দাবি করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের কিছুটা ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। এগুলো পরিষ্কারে হাত দেয়া হবে। এই বিচ্যুতি নতুন করে হয়নি দীর্ঘদিনের। মানুষ যেন ব্যাংকমুখী হয় সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করবো। ব্যাংকে বিশেষ অডিটের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের ব্যালেন্স সিট কতো সেটা জানা যাবে। ‘

ব্যাংকের গ্রাহক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা ব্যাংকের ভালো গ্রাহক তাদের সহায়তা করা হবে। যারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে দিচ্ছে না তাদের ছাড় দেয়া হবে না। বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করে তাদের নিকট থেকে টাকা আদায় করা হবে। খারাপ-অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আপোষ নাই। আইনী প্রক্রিয়ায় টাকা আদায় করা হবে। খারাপ ব্যবসায়ীদের যে সব ব্যবসায়ী সহায়তা করেছে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, তবে কাউকে জেলে পাঠিয়ে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কিছু করা হবে না। আমরা চাই না কেউ বিপদে পড়ুক।’

ব্যাংক খাতের প্রসংশা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক খাত ভালো করছে এটা আমাদের স্বীকার করতে হবে। এই খাত ভালো না করলে প্রবৃদ্ধি অর্জনে এতো ভালো করতাম না। আমরা আশা করছি আগামীতে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবো। আমাদের অনেক টাকা দরকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে অনেক টাকা দরকার। মেগা প্রকল্পে এখনই টাকা ছাড় করার সময়। এগুলো করতে হলে ব্যাংক খাতের উন্নয়ন জরুরি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পেয়েছেন সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম প্রমূখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাহবুব তালুকদারের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত : ইসি সচিব
পরবর্তী নিবন্ধজীবন সংগ্রামী যাত্রী রাণী দত্ত এখন ইজিবাইক চালক