স্পোর্টস ডেস্ক : স্বাগতিক ক্যামেরুনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মোহাম্মদ সালাহর দল মিশর। বৃহস্পতিবার ইয়াউন্ডে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ন ম্যাচের ১২০ মিনিট পর্যন্ত গোল করতে পারেনি কোন দল। পরে টাইব্রেকারে অদম্য সিংহদের ৩-১ গোলে হারায় ফারাওরা।
ম্যাচ জয়ের মুল নায়ক মিশরীয় গোল রক্ষক মোহাম্মদ আবু গাবাল। ওলেম্বে স্টেডিয়ামে পোস্টের বাইরে বল মেরে ক্লিনটন এনজি ক্যামেরুনের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার শেষ সুযোগ হাতছাড়া করার আগে হ্যারল্ড মউকৌদি ও জেমস লিয়া সিলিকির দুটি শট রুখে দেন গাবাল।
মিশর দলের হয়ে সাধারণত পঞ্চম পেনাল্টি শট নিয়ে থাকেন সালাহ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জয় পাইয়ে দিতে চূড়ান্ত শটটি নিতে হয়নি লিভারপুল তারকার। এই জয়ে আগামী রোববার ওলেম্বে স্টেডিয়ামে ফাইনালে সেনেগালের মোকাবেলা করবে মিশর।
ফাইনাল ম্যাচে সালাহ তার লিভারপুল সতীর্থ সাদিও মানের দলকে হারাতে পারলে রেকর্ড অষ্টমবারের মত আফ্রিকান নেশন্স কাপের শিরোপা ঘরে তুলতে পারবে ফারাওরা। অপরদিকে এখনো শিরোপার অপেক্ষায় রয়েছে সেনেগাল।
ম্যাচ চলাকালে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মিশরের প্রধান কোচ কার্লোস কুইরোজকে। খেলা শেষে দলটির সহকারি কোচ দিয়া আল সাঈদ বলেন, ‘আজকের এই অর্জনে আমরা গর্বিত। তবে এখনো এক ধাপ বাকী আছে।’
এদিকে ক্যামেরুন দেখল ঘরের মাঠে কিভাবে তাদের শিরোপা স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। এখন ভগ্ন হৃদয় নিয়েই তাদের মাঠে নামতে হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারনী প্লে-অফ খেলতে। সপ্তাহ শেষের ওই ম্যাচে বুরকিনা ফাসোর মোকাবেল করবে ক্যামেরুন।
খেলা শেষে স্বাগতিক দলের কোচ টনি কনসিকাও বলেন, ‘ক্যামেরুনের ২৭ মিলিয়ন জনগনের মত আমরাও দু:খিত। কিন্তু এটিই ফুটবল।’
কমরোসের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচের পর মাত্র ১০ দিন পার না হতেই আবার শোকের সাগরে ভাসল ক্যামেরুনবাসি। ওই ম্যাচে স্বাগতিক ক্যামেরুন জয়লাভ করলেও স্টেডিয়ামে ঘটে যায় মর্মান্তিক দূর্ঘটনা। উপচে পড়া দর্শকের ভিড়ে পদদলিত হয়ে মারা যায় আটজন। আহত হয় ৩৮ জন।
ওই ঘটনার তদন্তের জন্য সাময়িকভাবে ভেন্যুটি স্থগিত করে আফ্রিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন (সিএএফ)। তদন্ত শেষে ফের ভেন্যুটি খুলে দেয়ার অনুমতি দেয় কনফেডারেশন। ওই ঘটনার পর গতকালের ম্যাচের দর্শকদের খেলা শুরুর অনেক আগেই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
করোনা বিধিনিষেধের কারণে স্টেডিয়ামের দর্শক প্রবেশেও ছিল বিধিনিষেধ। ধারন ক্ষমতার মাত্র ৮০ শতাংশ দর্শক স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি পায়।
