জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত ৬০ পরিবারের বসতবাড়ি, দুটি বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু জমির ভুট্টা ও বোরো ক্ষেত। এছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে যায়, রোববার (৩ এপ্রিল) ফজরের নামাজের পর উপজেলার নয়াহাট ইউনিয়নে হঠাৎ উত্তর দিক থেকে আসা গরম বাতাসের সঙ্গে ঝড় বইতে শুরু করে। ঝড় ও বাতাসে রবি ঠাকুর, শাহ পরান, পারভেজ, ইনছাফ আলী, শফিকুল, দুলালসহ অন্তত ৬০টি পরিবারের বসতবাড়ি এবং দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও চর খেদাইমারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘর লন্ডভন্ড হয়। এ সময় বেশ কিছু ভুট্টা ও বোরো ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ঝড়ে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
নয়ারহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, ভোরের আকস্মিক ঝড়ে আমার নিজের বসতবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়ার এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন, আজ ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে চোখের পলকে উড়ে যায় দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনসহ কয়েকটি দোকান।
দক্ষিণ খাউরিয়া এলাকার নীল চাদ ব্যাপারী বলেন, হঠাৎ উত্তর দিক থেকে গরম বাতাস আসে এবং সেই সঙ্গে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের কবলে কয়েক মিনিটের মধ্যে আমার বাড়িঘরও তছনছ হয়।
নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হানিফা বলেন, ঝড়ে ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, ঝড়ের বিষয়টি স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে জেনেছি। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন বলেন, চিলমারীর ঝড়ের বিষয়টি শুনেছি। তবে কুড়িগ্রাম জেলায় শনিবার দুপুর ১২টা থেকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
