মেহের মামুন, মুকসুদপুর ( গোপালগঞ্জ ) প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণকে নিরাপদে নিজ ঘরে অবস্থানের নির্দেশে দিয়েছে রাষ্ট্র। আর এই নির্দেশ মানতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা। কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সড়ক-মহাসড়কগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছে উপজেলার শ্রমজীবি নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজ করতে না পেরে খাদ্যের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। অনেক ভ্যানচালক, দিনমজুরকে পেটের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথে নামতে দেখা গেছে। যদিও সব সময় তারা থাকছে পুলিশ আতঙ্কে। এবিষয়ে পৌরসভার গোপিনাপুর গ্রামের ভ্যান চালক আমিনুল (২২) বলেন, পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান চালাতে বের হয়েছি। রাস্তা-ঘাটে কোন যাত্রী নেই। সারাদিন ধরেও এক-দেড় শ’ টাকা রোজগার করতে পারি না। কিভাবে সংসার চলাবো বুঝতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হবে। তিনি আরো বলেন আমাদের মত অসহায়দের জন্য এলাকার বৃত্তবানদের সহায়তা কামনা করছি। আমিনুলের মত আরো অনেকেই একই দাবি জানিয়েছে। মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসন কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে যেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এছাড়াও তালিকায় গন্ডগল কারনে অনেক সহায়তা আকাঙ্খীরাও বাদ পড়ছে সরকারের এই খাদ্য সহায়তা থেকে। প্রশাসনের প্রসংশনীয় কাজের মধ্যে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন পৌরসভাসহ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল। সরকারের সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং মানবিক সমাজ গঠনে নিরলস কাজ করছেন পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছে মানুষকে ঘরের রাখার জন্য। অন্যদিকে মুকসুদপুর উপজেলার সাংবাদিক সমাজ বিভিন্ন ধনাঢ্যদের নিকট থেকে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে দরিদ্রদের মাঝে বিতরন করবেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি লবন ও ৫০ গ্রাম শুকনা মরিচ। এছাড়াও এসব মানুষের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
