মেহের মামুন, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ,
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে নির্বাচনের আগে দেয়া কথা রাখলেন সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের বিজীত প্রার্থী আবুল কাশেম রাজ। উজানী-বলনারায়ন খালের বহুগ্রাম দক্ষিন পশ্চিম পাড়ায় ব্যাক্তিগত লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করে দিলেন কাঠের ব্রিজ।
এলাকার পাঁচ শতাধিক পরিবার এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি। এছাড়াও এই ব্রিজ পেয়ে সন্তোশ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে এলাকার শিশু শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে এই ব্রিজ দিয়ে স্কুলে যেতে পেরে আনন্দিত।
স্থানীয়রা জানান, বহুগ্রাম দক্ষিন পশ্চিম পাড়ায় প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার বসবাস করে। এখানে আগে বাঁশের সাকো ছিলো। এই সাকো দিয়ে আমাদের পারাপার হতে হতো। স্থানীয় অনেক শিশু শিক্ষার্থীরা এই সাকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যায়। এই সাকো দিয়ে পার হওয়ার সময় অনেক বার দূর্ঘটনা ঘটেছে।
তাছাড়া এই বিলের সকল ফসল নিয়ে কৃষকদের যাতায়াতে কষ্ট হয়। আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি বার বার বল্লেও তিনি এখানে ব্রিজের কোন ব্যবস্থা করেননি। অবশেষে আবুল কাশেম রাজ তার ব্যাক্তিগত টাকা দিয়ে এই কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। এতে আমরা উপকৃত হয়েছি।
বহুগ্রাম ইউপির সাবেক সদস্য অরুন কুমার বাড়ৈ জানান, উপজেলা নির্বাচনের আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম রাজ এখানে একটি ধর্ম সভায় এসেছিলেন। এখানকার মানুষের চলাচলের এই দূর্ভোগ দেখে তিনি বলেছিলেন আমি যদি চেয়ারম্যান হতে পারি তাহলে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দিবো। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যান হতে পারেননি। তারপর তিনি তার ব্যাক্তিগত অর্থ দিয়ে নির্বাচনের এক সপ্তাহের মধ্যে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এটা আপাতত চলাচলের জন্য করে দিলাম। এখানে আমি ব্রিজের ব্যবস্থা করে দেবো।
আবুল কাশেষ রাজ জানান, নির্বাচনের আগে একটি সভায় গিয়ে এলাকাবাসীকে কথা দিয়েছিলাম একটা ব্রিজ করে দিবো। আমি আমার কথা রেখেছি। ব্যাক্তিগত লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে একটি কাঠের ব্রিজ করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে এখানকার লোকজনের চলাচলের সুবিধার জন্য একটি সেতু নির্মাণ করে দিবো।
