পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে তার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের তদন্ত বন্ধ করতে অনুরোধ করেছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি মি. কোমিকে এই অনুরোধ করেন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে হোয়াইট হাউজ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহেই জেমস কোমিকে বরখাস্ত করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন।
খবরে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন পদত্যাগের মাত্র একদিন পর হোয়াইট হাউজে এক বৈঠকে এবিষয়ে তদন্ত না করার জন্য জেমস কোমিকে অনুরোধ করেন তিনি।
রুশ রাষ্ট্রদূতের সাথে যোগাযোগের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেছিলেন জেনারেল ফ্লিন।
মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, এবিষয়ে তদন্ত বন্ধ করার জন্য মি. ট্রাম্প অনুরোধ করার পর বৈঠক শেষেই একটি নথিতে এই তথ্যটি লিখে রেখেছিলেন মি. কোমি।
তবে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হোয়াইট হাউজ বলছে, যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন যে জেনারেল ফ্লিন একজন ভাল মানুষ এবং যিনি কিনা দেশকে রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট কখনোই মি. ফ্লিন বা অন্য কারো বিষয়ে তদন্ত বন্ধ করার অনুরোধ করেননি।
ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার আগে মি. ফ্লিন রুশ রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়ে কথা বলেছিলেন এমন খবর ফাঁস হবার পরই মি. ফ্লিনকে পদত্যাগ করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিলেন।
রাশিয়ার কাছে তথ্য ফাঁসের অভিযোগের পরপরই মি. ফ্লিনের বিষয়ে তদন্তে বাঁধার অভিযোগ এলো মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
সমালোচকরা বলছেন, মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং তার সহযোগীদের সাথে রাশিয়ার যোগাযোগের বিষয়ে যেকোন তদন্তে বাঁধা সৃষ্টি করতে চাইছেন মি. ট্রাম্প।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
