সাইদ রিপন: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্ধ ধাপে ১০৬ উপজেলায় ভোট হয়েছে। এ ধাপে ছয় উপজেলায় ইলেকট্রোনিক ভোটিং (ইভিএম) মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। এর মধ্যে দুই উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও বাকি চার উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের মধ্যে এ চার উপজেলায় সব থেকে কম ভোট পড়েছে।
চতুর্থ ধাপে ভোট পড়ার হার সবচেয়ে বেশি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায়। এখানে ভোট পড়েছে ৭০ দশমিক ৮২ শতাংশ।সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ফেনীর সদর উপজেলায়। এতে ভোট পড়ার হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এই উপজেলায় মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৫৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৭ হাজার ১৮ জন। এই উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।
এরপর কমের দিক থেকে রয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা। তাতে ভোট পড়েছে ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। চতুর্ধ ধাপে ছয় উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বাগেরহাট ও ময়মনসিংহ সদরে ভোট হয়নি, এখানে বিনা ভোটে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী।
ইভিএমে যে চার উপজেলায় ভোট হয়, এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়ার হার পটুয়াখালী সদরে। এতে ভোটের হার ৩৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। ইভিএমের ভোটগ্রহণ উপজেলাগুলোর মধ্যে কেবল এই একটি উপজেলাই ভোটের মোট গড় হারের উপরের যেতে পেরেছে। চতুর্থ ধাপে ভোটের গড় হার ৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। ইভিএম বাকি দুটি উপজেলার মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদরে ভোট পড়েছে ৩০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এই উপজেলায় মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৭০৬ জন। ভোট দিয়েছেন ৮৯ হাজার ৩৫৬ জন। এর মধ্যে অবৈধ হয়েছে ১৮৬টি ভোট।
আর কক্সবাজার সদরে ভোট পড়ার হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এতে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮৫ হাজার ৬৪০ জন। এর মধ্যে অবৈধ হয়েছে ২৩৫টি ভোট। দামের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ইভিএম মেশিন ব্যবহার করছে বাংলাদেশ।
