আপিল করবেন নূর হোসেন, দ্রুত রায় কার্যকর চান আইনজীবীরা

পপুলার২৪নিউজ,জেলা প্রতিনিধি:
আপিল করবেন নূর হোসেন, দ্রুত রায় কার্যকর চান আইনজীবীরা

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের মামলায় রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আপিলের ইচ্ছা পোষণ করেছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেন।

নূর হোসেনের বরাত দিয়ে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর নূর হোসেন জানিয়েছেন, তিনি হাইকোর্টে আপিল করবেন’।
আর কি কি বলেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী বলেন নূর হোসেন বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার পাইনি। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই, আমাকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে। হাইকোর্টে আপিল করে ন্যায়বিচার পাবো’।
এদিকে রায়ের বিষয়ে আইনজীবী খোকন সাহা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বিচারক যা ন্যায় মনে করেছেন, সে রায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই’।
সোমবার সকালে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় এর প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‌্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মিছিল করেছেন নারায়ণগঞ্জ বার সমিতির আইনজীবীরা।
সোমবার সকালে সাত খুন মামলার রায় ঘোষণা পর তারা জেলা দায়রা জজ আদালত চত্বরে মিছিল করেন।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মিছিলকারী আইনজীবীরা জানান, নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত খুন মামলায় যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
রায়ে সাত খুনের দায়ে নূর হোসেন ও র‌্যাবের ৩ কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম
সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহকর্মী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅ্যানা ফ্রাঙ্কের দেহাবশেষের সন্ধানে মিলল নতুন সূত্র
পরবর্তী নিবন্ধসাংসদ আমানুরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জেলা আ. লীগের