আটকে পড়াদের মালয়েশিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কোভিড -১৯ লকডাউনের কারণে মালয়েশিয়ায় ফিরে যেতে পারেননি এমন আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার হাজনা মো. হাশিম সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ অনুরোধ করেন।

তিনি মালয়েশিয়া সরকারকে শ্রমিকদের নিয়োগকর্তা পরিবর্তন করার অনুমতি প্রদান এবং পুনরুদ্ধার কর্মসূচি চালু করার জন্য প্রশংসা করেন যার অধীনে অবৈধ শ্রমিকদের আইনিকরণের সুযোগ থাকবে।

শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের (জি টু প্লাস) মধ্যে সমঝোতা চুক্তির সংশোধন প্রোটোকল চূড়ান্ত করার জন্য অনুরোধ করেন ড. মোমেন।

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ও সমাজে বাংলাদেশি কর্মী ও পেশাদারদের বিশাল অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি তার সরকারের কাছে কর্মীর প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘকালীন মহামারিতে বাংলাদেশের নীতিগত উদ্যোগ এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির প্রশংসা করেছিলেন। বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য হাইকমিশনার আশা করেছিলেন যে শিগগিরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) জন্য আলোচনা শুরু হবে।

হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে ঢাকায় তার মেয়াদে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগ্রহের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থবহ সহযোগিতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

ড. মোমেন উল্লেখ করেন বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে মালয়েশিয়ার সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে। তিনি উল্লেখ করেন বিদেশি কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, বাণিজ্য, পর্যটন, শক্তি ইত্যাদি এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের মতো বিস্তৃত বিষয়ে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি পরামর্শ দেন মালয়েশিয়ার একটি বিনিয়োগ প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্প উদ্যান পরিদর্শন করতে পারে যেখানে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।

ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের পক্ষে মালয়েশিয়ার দৃঢ় নৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থনকে প্রশংসা করেছেন এবং রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য মালয়েশিয়া এবং আসিয়ান উভয়ের কাছ থেকে আরও সমর্থন চেয়েছেন। তিনি মালয়েশিয়াকে সীমিত আকারে এমনকি রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ফিল্ড হাসপাতালের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান সেক্টরাল ডাইলগ পার্টনারে বাংলাদেশের প্রার্থিতা দেওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাতিরঝিলে হয়রানির অভিযোগে আরও ৩১ জন আটক
পরবর্তী নিবন্ধমানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী