পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক:
আগামী সপ্তাহে ব্রোকারেজ হাউজ মালিকদের হাতে আসছে চীনা তহবিলের অর্থ। এরই মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এই অর্থ বিনিয়োগে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে, যা শেষ হলেই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডাররা অর্থ হাতে পাবেন। যদিও চীনা ফান্ডের এ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকছে না। যারা কর ছাড় চাইবেন না, তারাই কেবল এই সুযোগ পাবেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, চীনা ফান্ডের অর্থ যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন, শর্তসাপেক্ষে তারাই কেবল ১০ শতাংশ কর হ্রাসের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, যারা এই অর্থ পুঁজিবাজারে না রেখে অন্য কোথাও নিতে চান, তাদের অর্থের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রিবাবদ ৯৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা পাওয়া গেছে। এখান থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ পুঁজিবাজারে টানতে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে শেয়ারহোল্ডারদের এই অর্থ তিন বছর পুঁজিবাজারে রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে সদস্য ব্রোকাররা যে অর্থ পাবেন তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে ছাড় দেওয়া হবে। তারা আমাদের কাছে এই অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিলে আমরা ব্যাপকহারে কর হ্রাস করে দেব। এটা আমরা পাঁচ শতাংশ করে দেব, কিন্তু শর্ত হচ্ছে এই টাকা আগামী তিন বছরের জন্য পুঁজিবাজারে রাখতে হবে।
এবিষয়ে ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, চীনা কনসোর্টিয়াম ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ায় পুঁজিবাজার যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও এটা কল্যাণ বয়ে আনবে। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, চীনা কনসোর্টিয়াম দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তারা মালিকানা পেয়েছে। এখন অবশ্যই তারা এ মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করবে। মার্কেটে যুক্ত হবে নতুন নতুন পণ্য, আসবে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা। চীনের টেকনোলজি যুক্ত হলে সার্ভিলন্স আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন তারা। তাদের অভিমত, এর ফলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতার জায়গাটি আরও পরিষ্কার হবে। চীনের পুঁজিবাজারে অসংখ্য বড় বড় বিনিয়োগকারী রয়েছে। তাদের কিছু অংশ যদি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে, তবে এ বাজার আরও শক্তিশালী হবে।
