জেলা প্রতিনিধি,পপুলার২৪নিউজ:
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন কায়দায় ছবি উঠিয়ে জিম্মি করে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরে ধর্ষণের ছবি দেখিয়ে পরিবারের কাছে টাকাও দাবি করেছে ধর্ষক। এ ঘটনায় চাচাতো ভাই খাইরুল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
ধর্ষক ইব্রাহীম (২২) ও তার সহযোগীসহ দুজনকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন লক্ষীপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে ধর্ষক ইব্রাহীম খলিল (২২) ও একই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে মনির(২২)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুকসাইর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর (১১) সাথে লক্ষীপুর গ্রামের ইব্রাহীম কৌশলে সর্ম্পক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বখাটে ইব্রাহিম ফুসলিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়ে মুরাদনগর শিল্প ও বানিজ্য মেলায় ঘুরতে আসে। সেখানে ইব্রাহীম তার মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে দুজনের ছবি তুলে নেয়।
পরে ইব্রাহীম তার মোবাইল ফোনের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ করে দিবে বলে ওই ছাত্রীকে জানায়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বখাটে ইব্রাহীম মুকসাইর গ্রামে ছাত্রীর বাড়ীতে যায় এবং তার মা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে ছবিগুলো ইন্টারনেটে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। নরপশু ইব্রাহীম ধর্ষণের সময় আরও কিছু ছবি তুলে নেয়।
দুদিন পর ইব্রাহীমের সহযোগী লক্ষীপুর গ্রামের শিপন (২২) সে ছবি দেখিয়ে মেয়ের মাকে বলে তাকে টাকা দিতে, টাকা না দিলে তার মেয়ের বিবস্ত্র ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দেবে বলে হুমকি দেয়।
বিষয়টি মুরাদনগর থানা পুলিশকে অবহিত করলে গতকাল শুক্রবার রাতে পুলিশ পরিদর্শক মো: হাবিবুর রহমান, পুলিশ উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম ও বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে লক্ষীপুর গ্রাম থেকে ধর্ষক ইব্রাহীম ও সহযোগী মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ের সাথে যারা এসব নোংরামি করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ এর ১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষকের মেবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয়েছে।
