শাহরুখ খানের ‘জাব হ্যারি মেট সেজল’ ছবিতে ‘ইন্টারকোর্স’ শব্দ নিয়ে তার ঘোর আপত্তি ছিল। আপত্তি ছিল ‘বোরকা’র নিচের ‘লিপস্টিক’ নিয়েও।
৪৮ বার কাঁচি চালানোর আদেশ দিয়েছিলেন ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’-কে। এত ‘সংস্কারি’ হয়েও শেষরক্ষা হয়নি। খোয়া গিয়েছে সিবিএফসি প্রধানের পদ।পদ হারিয়ে তাই ‘সংস্কার’ও ছেড়ে দিয়েছেন পহেলাজ নিহালনি। এখন তিনি ইরোটিক ড্রামা ‘জুলি ২’-এর নিবেদক। আর কোনও দৃশ্যে কাঁচি না চালিয়েই সিবিএফসি ছাড়পত্রও দিল পহেলাজের এই ছবিকে।
পূর্বসুরির পথে যে তিনি হাঁটবেন না, তা ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন প্রসূন জোশী। সংস্কারি পহেলাজের সিনেমাকে বিনা কাটে মুক্তি দিলেন তিনি। তবে ছবির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ‘এ’ সার্টিফিকেট। এতেই খুশি পহেলাজ। এমনটাই নাকি তিনি আশা করেছিলেন। ‘জুলি ২’-কে অ্যাডাল্ট ফ্যামিলি ড্রামা আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। তার যুক্তি ছিল পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের জন্যই এ ছবি। সে কারণেই তিনি জুলি ২-এর নিবেদনের দায়িত্ব নিয়েছেন।
কিন্তু এরপরও ছবিতে পহেলাজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যে পহেলাজ সামান্য থেকে সামান্যতম অজুহাতে ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরকা’, ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’-এর মতো রিয়্যালিস্টিক ছবিকে সার্টিফিকেট দিতে টালবাহানা করেছেন, সেই পহেলাজ কেমন করে অ্যাডাল্ট ছবির নিবেদক হতে পারেন,
আসলে ছবির কাহিনিতেই নাকি এ প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন সাবেক এই সিবিএফসি প্রধান। তার মতে এটাতো বাস্তব দুনিয়া। ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে সবসময় এমনটা ঘটছে। এভাবেই বিভিন্ন মহলে মহিলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিষয়টি দর্শকদের সামনে আশা প্রয়োজন বলে মনে করেন পহেলাজ। আর অবশেষে তার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে, এমনটাই বলছেন বি-টাউনের বাসিন্দারা।
