মেহের মামুন, মুকসুদপুর প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে অনির্দিষ্ট কালের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষনা করা হয়েছে। ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানা এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আদেশ দেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসাবে মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। এরই মধ্যে গোপালগঞ্জে ৪পুলিশ সদস্যসহ সহ ১০ জনের দেহে করোনাভাইরাস দেখা দিয়েছে। এ কারনেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় করোনাভাইরাস প্রিতিরোধে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্তে জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হলো। এ জেলায় অন্য কোন জেলা থেকে জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিশিদ্ধ করা হরো। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে অন্য জেলা থেকে এ জেলায় কেউ প্রবেশ কিংবা অন্য জেলায় গমন করতে পারবে না । জেলার অভ্যন্তরে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় আসা-যাওয়া করা যাবে না । গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া, গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর থানা সম্পূর্ণভাবে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষনা করা হয়েছে। মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আলী জানান গোপালগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। মুকসদপুরের সকল এলকা লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলার কোন উপজেলা থেকে মুকসুদপুরে কোন যানবাহন ও জনসাধারণ প্রবেশ করতে পারবেনা। ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন, এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি এমনকি অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারী আইন যথাযথভাবে পালন করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করবে। জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানা বলেছেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্যদের মতামতের আলোকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় গোপালগঞ্জ জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষনা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়ক ও নৌপথে অন্য কোন জেলা থেকে কেউ গোপালগঞ্জ জেলায় প্রবেশ করতেক পারবে না ।
