পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক:
মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত উড়ালসড়কের (ফ্লাইওভার) হাতিরঝিল-সোনারগাঁও হোটেল (কারওয়ান বাজার) অংশটি আজ বুধবার যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সকাল ১০টায় উড়ালসড়কের এই ৪৫০ মিটার অংশটি উদ্বোধন করবেন।
এই লুপটি দিয়ে কেবল একমুখী চলাচল করা যাবে। উড়ালসড়কের রমনা (মগবাজার) প্রান্ত থেকে উঠে হাতিরঝিল বরাবর এসে এই লুপ দিয়ে সোনারগাঁও হোটেলের কাছে নামা যাবে।
প্রকল্পের পরিচালক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জ্যেষ্ঠ নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত কুমার পাল গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, হাতিরঝিল-সোনারগাঁও লুপের নির্মাণকাজ গত মাসে শেষ হয়। উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এলজিইডির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সঠিক পরিকল্পনা না করে নির্মাণকাজ শুরু করায় এই প্রকল্পের সোনারগাঁও প্রান্তের লুপটি ভেঙে দৈর্ঘ্য বাড়াতে হয়েছে। আগে দৈর্ঘ্য ছিল ২০০ মিটার। এখন হয়েছে ৪৫০ মিটার। এফডিসির পাশে রেলগেটের পূর্ব প্রান্তের কাজ প্রায় শেষ করে আনা হয়েছিল। পরে পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (এফডিসি) পার্শ্ববর্তী রেলগেটের ওপর দিয়ে যদি দৈর্ঘ্য আরেকটু বাড়ানো যায়, তবে যানজট এড়ানোসহ উড়ালসড়ক নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে। তবে সময়মতো কাজটি না করায় প্রকল্পের ব্যয় ও জনদুর্ভোগ দুই-ই বাড়ে। ব্যয় বাড়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
গত বছরের ৩০ মার্চ এই উড়ালসড়কের সাতরাস্তা-হলি ফ্যামিলি অংশ উদ্বোধন হয়। তখনই সোনারগাঁও লুপটি চালুর কথা ছিল। ওই সময় লুপটি ছিল এফডিসির সামনের সড়ক পর্যন্ত। পরে প্রায় এক মাস ধরে আগের লুপের কয়েকটি কলামসহ নিচের অংশ ভেঙে এর দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয়।
২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৭৭২ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার’ নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। সোনারগাঁওয়ের অংশ ছাড়াও পরে নানা কাজে নির্মাণ ব্যয় বাড়তে থাকে। সবশেষে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সাতরাস্তা-হলি ফ্যামিলি অংশের আগের দৈর্ঘ্য ছিল ২ দশমিক ১০৫ কিলোমিটার। খরচ ছিল ২১৩ কোটি টাকা। পরে হয়েছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা।
গতকাল সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, উড়ালসড়কের সোনারগাঁও অংশে বাতি জ্বলছে। উড়ালসড়কের ভেতরে সাদা রঙের চিহ্নিতকরণ রেখাও (মার্কিং) দেওয়া হয়েছে। উড়ালসড়কের নিচের সড়কও পিচঢালাই করা হয়েছে।
