বিএনপিকে চায়ের দাওয়াত কীসের ইঙ্গিত, প্রশ্ন রিজভীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিএনপিকে চায়ের দাওয়াত কীসের ইঙ্গিত? চায়ের দাওয়াতে নতুন কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দাওয়াত সন্দেহজনক।

সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা দলের বিক্ষোভ সমাবেশে রিজভী এ মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথসভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে আসে, তাহলে তাদের বাধা দেওয়া হবে না। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে চা খাওয়াব, বসাব, কথা বলতে চাইলে শুনব। কারণ আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তবে যদি বোমাবাজি করে, ভাঙচুর করে তাহলে তার উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের মন্তব্যের একদিন পর সোমবার রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

দেশে লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করে রিজভী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার নামে সরকার জনগণের টাকা লুটপাট করছে। জনগণের আদালতে একদিন সব হরিলুটের বিচার করা হবে। দেশকে বাঁচাতে গণতন্ত্রকে ফেরাতে হবে। গুম-খুনকে সরকার জায়েজ করে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ১৯টি মেগাপ্রকল্পের নামে হাজার কোটি টাকা লুট করেছে সরকার। দেশের চলমান সব সংকট কাটানোর একটাই পথ- সরকারের পতন ঘটানো। সে কারণেই সরকারের সাথে সংলাপ কিংবা সমঝোতা নয়, রাজপথে সরকার পতনের আন্দোলনে থাকবে বিএনপি।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে বিএনপি তো যাবেই না, উপরন্তু অন্য কাউকে অংশ নিতেও দেওয়া হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশি অভিনেতার পোশাকবিহীন ফটোশুট
পরবর্তী নিবন্ধখালেদাকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি পলিটিক্যাল হিউমার: ওবায়দুল কাদের