নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘোষিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজার উন্নয়নে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বাজেট প্রস্তাবের পরের কার্যদিবস অর্থাৎ রবিবার পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। এদিন টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩০ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯ ও ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৩৫ ও ১ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৩৮ কোটি টাকা কমেছে। আজ ৫৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৭২ কোটি টাকার।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৯টি কোম্পানির মধ্যে ৯৮টির বা ২৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ২০১টি বা ৫৮ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি বা ১৪ শতাংশ কোম্পানির।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জের। এদিন কোম্পানিটির ২৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের ১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের।
ডিএসইর টপটেন লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে: বিবিএস কেবলস, নিউ লাইন ক্লোথিংস, ড্রাগন সোয়েটার, ইস্টার্ন কেবসল, নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স, সিলকো ফার্মা এবং বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৫২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬১২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ১৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর। আজ ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
