বকেয়া টাকা আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান পাট ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেক:বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর কাছে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত পাট সরবরাহ বাবদ প্রান্তিক চাষি ও পাট ব্যবসায়ীদের ২৬৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পাট ব্যবসায়ী সমিতি।

তাদের দাবি, সম্প্রতি ৪০০ কোটি টাকার ফিনিশ পাটের মধ্য থেকে ৩৩২ কোটি টাকার ফিনিশ পাট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি)।

অথচ পাওনা বকেয়া না পেয়ে পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম প্রান্তিক চাষি ও পাট ব্যবসায়ীদের। পাওনা আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

রোববার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় পাট ব্যবসায়ী সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির আহ্বায়ক শামীম আহমেদ মোড়ল বলেন, ‘সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মন্ত্রী পর্যায়ে সদস্য, শ্রমিক নেতাসহ বিভিন্ন স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হলেও পাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। অথচ দুঃসময় বা সুসময়ে বিজেএমসির পাটগুলোতে নিয়মিত পাট সরবরাহ করে কলগুলো সচল রেখেছিলেন পাট ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আজ এ পাট ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক চাষিদের বকেয়া টাকা এখনো পরিশোধ করা হয়নি। ব্যবসা নেই, পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম আমাদের। আমরা আমাদের পাওনা আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি। ’

সমিতির কার্যকরি সদস্য মো. সিয়াম হোসেন বলেন, ‘পাট ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক চাষিরা আজ ব্যাংক ঋণ আর দেনার চাপে দিশেহারা। আমাদের সরবরাহ পাট থেকে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করেই বিজেএমসির কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন পরিশোধসহ শ্রমিকের মজুরি ব্যয় মেটানো হলেও আমাদের পাওনা পরিশোধে বিজেএমসি উদাসীন। ’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সংসদে এমপি শাহজাহান খান প্রশ্নোত্তর পর্বে পাটমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন পাট ব্যবসায়ীদের পাওনা পরিশোধ কবে হবে। উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পাটকলগুলোতে পাট পণ্য মজুদ আছে সেগুলো বিক্রি করে পরিশোধ করা হবে। কিছুদিন আগে ৩৩২ কোটি টাকার পাট পণ্য বিক্রি করেছে বিজেএমসি, যে অর্থ দিয়ে পাট ব্যবসায়ীদের ২৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা সম্ভব। অথচ এ পাওনা পরিশোধের বিষয়ে বিজেএমসির কাছ থেকে এখনও কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। ’

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে পাওনা টাকা আদায়ে প্রধানমন্ত্রী ও পাটমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। এখনো টাকা আদায় না হওয়ায় আগামী ১৮ আগস্ট ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও চাষিদের নিয়ে বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হলে পরে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। ’

পূর্ববর্তী নিবন্ধইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে শাজাহান খানের মামলা
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বন্যার্তদের মাঝে অগ্রণী ব্যাংকের ত্রাণ বিতরণ