সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলা সদরের দক্ষিণ বন্দর এলাকায় আল নূর হোটেলের কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল চালক রানা ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
রানা ইসলাম কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের জাইতোরবালা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। সে বেঙ্গুলিয়া স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
পলাশবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান জানান, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ তার বাবা তসলিম উদ্দিনের দাফন ও কুলখানি শেষে সোমবার দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের কেওড়া বাংনি গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরছিলেন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তার গাড়িটি পলাশবাড়ি উপজেলা সদরের দক্ষিণ বন্দর এলাকায় আল নুর হোটেলের কাছাকাছি পৌঁছলে পশ্চিম দিক থেকে কলেজ রোড ধরে আসা একটি মোটরসাইকেল রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে উঠার সময় তুরিন আফরোজের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ওই মোটরসাইকেলটিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হয়েছে মোটরসাইকেলের চালক রানা ইসলাম।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত রানাকে আটক করে এবং মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। তবে রানার সঙ্গী রাসেল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছে বিষয়টি দুর্ঘটনাজনিত। তারপরও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
তবে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, তাকে আঘাত করার জন্য মোটরসাইকেলসহ তার উপর হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘ছেলেটি আমাকে বলল, আপা আমি আপনাকে চিনি না। কেন আপনাকে এ্যাটাক করবো? এতেই আমার সন্দেহ হয়েছে। যদিও লোকাল (স্থানীয় নেতারা) থেকে বলা হচ্ছে, আপা আমরা এলাকায় রাজনীতি করি। এটা তো আমাদের বদনাম হয়ে যাচ্ছে।’
