ডিমসহ অধিকাংশ সবজির দাম কমলেও পেঁয়াজের দাম কমছে না

পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম না কমলেও ঈদের আগের তুলনার কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম। একই সঙ্গে আগের চেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে অধিকাংশ সবজি দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আর চালের দাম অপরিবর্তিত আছে গত একমাস ধরে। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর গত কয়েকদিন রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম কম ছিল। গতকাল ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় বেড়েছে। ফলে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে অধিকাংশ কাঁচাবাজার। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার পাশাপাশি সবজির সরবরাহ বাড়লেও বিক্রি খুব একটা বাড়েনি। ফলে ঈদের আগের তুলনায় সব সবজিই কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, সাদা ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ১৫০-১৬০ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে ২৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে। আর ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা ডজন, যা ঈদের আগে ১০০ টাকার থেকে ১০৫ টাকা ছিল।
মুরগির দাম কমার বিষয়ে মিরপুর ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ঈদের আগে সাদা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি ১৫০ টাকা কেজিতে। এখন সেই মুরগি ১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। অধিকাংশ মানুষের বাসায় ফ্রিজে কোরবানির মাংস মজুদ রয়েছে। ফলে মুরগির চাহিদা অনেক কম। এ জন্যই দাম কিছুটা কমে গেছে।
বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজি ২৫-৪০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের আগের মতো এখনো শিম, টমেটো, গাজর, ফুলকপি ও পাতাকপি চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতের আগাম সবজি শিম। বাজার ও মানভেদে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ১২০-১৪০ টাকা। বাজারে ছোট আকারের প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। আর পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা পিস। ঈদের আগে চড়া দামে বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে। মান ও বাজারভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৬০-৮০ টাকা।
এছাড়া দাম কমার তালিকায় রয়েছে- উচ্ছে, বরবটি, কাকরল, করলা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, লাউ। বাজার ভেদে উচ্ছে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৫০-৬০ টাকা কেজি। ঈদের আগে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি।
ঈদের আগে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিচিংগা, পটল, ঝিঙা, ধুনদল, কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। পেপে আগের মতো ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামরিচের দামও কিছুটা কমেছে। ঈদের আগে ৩০-৩৫ টাকা পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম কমে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেয়াজের দাম না কমলেও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজের দাম আগের মতো ৫৫-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৩৫-৪০ টাকা।
চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোটা চাল মানভেদে ৪২ থেকে ৪৮ টাকা ও মিনিকেট চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশের প্রতিটি অর্জনে রয়েছে ছাত্রলীগের অবদান: প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধ২০১৮ সালের প্রথমার্ধ ব্যাংকগুলোর মূলধন বাড়লেও মুনাফা কমেছে