ট্রেন বন্ধ, টিকিট ফেরত দিতে স্টেশনে মাইকিং

জেলা প্রতিনিধি

পার্ট অফ পে রানিং অ্যালাউন্স (মাইলেজ) যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবি পূরণ না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন রানিং স্টাফরা (টিটিই, গার্ড ও ট্রেন চালক)। ফলে খুলনা থেকে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে একটি ট্রেনও ছেড়ে যায়নি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ইঞ্জিনহীন বগি পড়ে আছে স্টেশনে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও অন্যান্য লাইনে যাত্রীবাহী ও মালবাহী মোট ৫টি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। কোনো ট্রেনের সঙ্গে ইঞ্জিন নেই। স্টেশনে কর্মরত রানিং স্টাফ টিটিই, গার্ড ও ট্রেন চালক কারো দেখা মেলেনি। বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য শত শত যাত্রী স্টেশনে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

স্টেশনের মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, অনিবার্য কারণবশত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। যেসব যাত্রী ট্রেনের টিকিট অগ্রীম কেটেছেন তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

স্টেশনে আসা এক যাত্রী বলেন, ব্যবসার কাজে যশোরে যাবো বলে এসেছিলাম। কিন্তু ট্রেন চলাচল বন্ধ, এ কারণে বাসে করে যেতে হবে। ট্রেনে যেতে পারলে খুব দ্রুত যাওয়া যেত। কাজ শেষ করে বাসে আসতে অনেক ভোগান্তি হবে।

কুষ্টিয়া যাওয়ার উদ্দেশে খুলনা স্টেশনে আশা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পেয়েছেন। আজ তাদের ১২ জনের একসঙ্গে যাওয়ার কথা, কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় যেতে পারেননি। বাসে যেতে গেলেও তাদের সমস্যা হয়। কারণ তাদের সঙ্গে নির্মাণাধীন অনেক সরঞ্জামাদি থাকে। যা বাসের চালক ও হেলপাররা নিয়ে উঠতে দেন না। এজন্য তারা ট্রেনেই বেশি যাতায়াত করেন।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন বলেন, রাত ১২টার পর থেকে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কবে চালু হবে তা জানা যায়নি। রানিং স্টাফরা ধর্মঘটে রয়েছেন। যে সব যাত্রী স্টেশনে এসেছেন তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য স্টেশনে কোনো ভিড় নেই। এছাড়াও স্টেশনের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রেনের যাত্রা বাতিল হলে টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন যাত্রীরা
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান, ১ দিনে গ্রেফতার ৯৫৬