পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
সিনেমায় তিনি দাবাং হিরো। কখনো অ্যাকশন, কখনো অ্যাকশনের সঙ্গে কমেডি। সালমান মানেই সিনেমা হিট। দর্শকদের আনন্দ দিলেও ৫০ পার করে দেওয়া এ অভিনেতা এখনো নিজের জীবনের সঙ্গে কাউকে জড়াননি। কিন্তু কেন? এক ভয়ঙ্কর রোগে ভুগছেন এই দাবাং হিরো। রোগের নাম ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া। এক কথায় ফেসিয়াল নার্ভ ডিসঅর্ডার। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা আত্মহত্যা প্রবণতায় ভোগে।
টিউবলাইট ছবির প্রথম গান রেডিওর প্রচারে দুবাই গিয়ে সালমান খান বলেছেন, অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এই রোগ তার সঙ্গী। রোগটির অন্য নাম সুইসাইড ডিজিজ কারণ অনেকে এর ফলে আত্মহত্যার দিকে ঝোঁকেন। সালমান বলেছেন, যন্ত্রণায় পাগল পাগল হয়ে একটা সময়ে তার নিজেরও আত্মহত্যার ইচ্ছে হয়েছিল। কিন্তু সেই চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলে পরিশ্রম আরও বাড়িয়ে দেন তিনি। এই রোগে আক্রান্তদের আত্মহত্যার হার সবথেকে বেশি বলেও তিনি জানান।
তবে এ রোগের কারণেই তিনি বিয়ে করছেন না- এমন কথা অবশ্য বলেননি।
২০০১ সালে প্রথম এই রোগের কথা বলেন সালমান। বলেন, তার কণ্ঠস্বরে একটা ফ্যাঁসফ্যাঁসে ভাব রয়েছে। এটা তার নেশা করার জন্য নয়। এমনিতে তিনি ভাল আছেন কিন্তু নিজের শরীরের দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখা ছাড়া উপায় নেই। মুখের স্নায়ুতে প্রদাহের কারণে এই ডিসঅর্ডার। এর ফলে মারাত্মক যন্ত্রণা হতে পারে। এর ফলে হতাশায় ভুগে অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেন।
কেন হয় এই রোগ? কোনও বিশেষ কারণ নেই। মুখে টিউমার হলে, ধমনীতে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়লে, রক্ত কোষ সংকুচিত হলে এমনটা হতে পারে। আবার এ সব কিছু না হলেও হতে পারে। মুখের এক দিকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা এই রোগের ইঙ্গিতবাহী। দাঁত মাজা, মুখ ধোয়ার সময় শুরু হতে পারে ব্যথা। কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারে। এতে আক্রান্ত হতে পারে চোয়াল, দাঁত, মাড়ি আর ঠোঁট। মারাত্মক যন্ত্রণায় আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক সময়েই আত্মহত্যার পথে হাঁটেন।
