বিনোদন ডেস্ক:
২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলার আসামি সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই আলোচনা রয়েছেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ।
শুধু প্রেমের সম্পর্ক নয়, জ্যাকলিনকে কাছে পাওয়ার জন্য তাকে দামি দামি উপহারও দিয়েছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। ইডির জেরার মুখে পড়ে এসব কথা নিজেই স্বীকার করেছেন সুকেশ।
এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ার টুডের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সুকেশ চন্দ্রশেখর আদালত বরাবর একটি চিঠি লিখেছেন। যেখানে তিনি জানান, “জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল এবং সেই কারণেই আমি তাকে উপহার দিয়েছি। আমার ব্যক্তিগত জীবন এবং উপহারের জন্য যে লেনদেন হয়েছে তা কোনোটিই কোন কার্যধারার অংশ ছিল না এবং আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন যে তা ছিল কিনা। মামলার সাথে তার (জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ) কোন সম্পর্ক নেই।”
ওই চিঠিতে সুকেশ চন্দ্রশেখর আরও লিখেছেন, তিনি চাঁদাবাজি শিকার হয়েছেন। বর্তমানে দিল্লির রোহিণী কারাগারে রয়েছেন সুকেশ।
২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় গত ৩০ আগস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের। ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’র আওতায় ইডি কর্মকর্তাদের সামনে বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন শ্রীলঙ্কান এই সুন্দরী। এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১৫, ১৬ অক্টোবর ইডির সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরে গত ৭ ডিসেম্বর ইডির নয়াদিল্লির দফতরে ফের হাজিরা দেন ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট ফাইল করেছেন ইডি সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে জ্যাকলিনের জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ করেছেন সুকেশ।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে পরিচয় দু’জনের। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই বলি নায়িকার দেখভালে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উড়িয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত এই ব্যক্তি।
