সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট : গ্রামের মোড়লদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য সামাজিক অবিচার থেকে বাঁচার জন্য দরিদ্র মানুষগুলো শহরে আসছে বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মঙ্গলবার(৩০ জুলাই) নগরীর ব্রাক সেন্টারে ‘অ্যাডভান্সিং ইনক্লুসিভ অ্যান্ড রেজিলেন্ট আরবান ডেভলপমেন্ট টার্গেটেড অ্যাট দ্যা আরবান’ বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী এ দাবি করেন। শহরে বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা বলেন, ‘ দরিদ্র মানুষ বাধ্য হয়ে কাজের খোঁজে, নিরাপত্তার খোঁজো, গ্রামের মোড়লদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য, সামাজিক অবিচার থেকে বাঁচার জন্য দরিদ্র মানুষগুলো শহরে আসছে। শহরে পাড়া ভিত্তিক বিচার নেই, পঞ্চায়েত নেই, মাতবর নেই যেটা গ্রামে আছে। গ্রামে দরিদ্রদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, এটা সবার জানা। এই সমস্যাগুলো আমাদের সমাধান করা দরকার।’ বস্তি উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, শহরের বস্তির মানুষের জীবন মান আরো ভালো করতে হবে, এই দিকে আমাদের একটু খেয়াল রাখতে হবে। সংশ্লিষ্টরা যেন বস্তির উন্নয়নে এগিয়ে আসে।’ পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছে, বাধের উপরে মানুষ বসবাস করছে, এই ছবি আমরা দেখেছি। বন্যায় ছবিগুলো সঠিকভাবে আসেনি। ৫০ বছর আগেও বন্যার সময় এমন ছবি দেখিছি। দেশে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে তাহলে এই ছবি কেন দেখছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, ঢাকায় বস্তির সংখ্যাও বাড়ছে।’ ঢাকার ইতিহাস তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, আগে ঢাকা অনেক মুক্ত ছিলো। আগে ফুলবাড়িয়া স্টেশন নামতান, রিকসা নিয়ে গন্তব্য পৌঁছে যেতাম। আগের মতো ঢাকা আর নেই, চারিদিকে বস্তি। এতা উন্নয়নের পরেও ঢাকায় বস্তি বেশি।’ বস্তির সংখ্যা বেশি হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, শহরের থেকে গ্রামের দরিদ্র ভয়াবহ। বস্তির মানুষের পরিবর্তন আনতে পারিনি, দরিদ্র মানুষ অবিচারের শিকার হচ্ছে।’ পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, ‘সরকোরের কমিটমেন্ট আছে, সরকার চিন্তা পর্যালোচনা করছে। দেশে দারিদ্র মানুষের সংখ্যা কমাবো। কেন মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসে, কেন মানুষ দরিদ্র হলো এর সমাধান বের করতে হবে। শহরের দরিদ্রের থেকে গ্রামের দরিদ্র ভালো। বস্তিতে মানুষ খাবার পায়, রাতে বাতি জ্বলে।যেটা গ্রামে অনেক সময় পাওয়া যায় না।’ মন্ত্রী আরো বলেন, স্থানীয় জমি, খাস জমি, স্থাপনাসহ সমস্ত কিছু স্থানীয় সরকারের আওতায় থাকা দরকার। খাস জমির জন্য ডিসির কাছে যেতে হয় এটা হওয়া উচিত নয়।’ এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের(ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের(এডিবি) আঞ্চলিক প্রতিনিধি অর্ঘ্য সিনহা রায়, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ইনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইইডি) প্রতিনিধি ডেভিড ডডম্যান, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
