ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার টেন্ডার কিং জিকে শামীমের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার সিনিয়র শাখাপ্রধান মুমিতুর রহমান ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৬৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত তিন বছরে ব্যাংকে জমা হওয়া বেতনভাতার টাকা একবারও তোলেননি মুমিতুর। সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার কিছু দিন আগে ও পরে ব্যাংকের ওই হিসাব থেকে প্রায় পুরো টাকাই তুলে নিয়েছেন। তার আরেকটি ব্যাংক হিসাবে নিয়মিতভাবেই এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা জমা হয়েছে। প্রায় ৩৪ লাখ টাকা জমা হওয়ার পর হঠাৎ সেখান থেকে প্রায় পুরো টাকাই তুলে নিয়েছেন তিনি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মুমিতুর দম্পতির বিরুদ্ধে ৫ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৬৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলমান শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর পরই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যে অনুসন্ধান শুরু করে, তার প্রথম তালিকাতেই মুমিতুর রহমানের নাম আছে। তা ছাড়া দুদক যে ৩৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার মধ্যে মুমিতুরও আছেন।
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতারদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বিতর্কিত ঠিকাদার যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে জিকে শামীমের কাছ থেকেই বেরিয়ে আসে গণপূর্ত কর্মকর্তা মুমিতুরের নাম। তার পর দুদকের অনুসন্ধানী কর্মকর্তারা জানতে পারেন, পেশায় একজন সরকারি কর্মকর্তা হলেও মুমিতুর ছিলেন ঠিকাদার জিকে শামীমের ক্যাশিয়ার।
