পপুলার২৪নিউজ ফিরোজ মিয়া :
রাজধানীর পাইকারি বাজারে চালের দাম কমলেও এখনো খুচরা বাজারে দাম কমেনি। খুচরা বাজারে চালের দাম না কমায় মনিটরিং দাবি সাধারণ ক্রেতাদের। পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমায় কেজিতে দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন খুচরা চাল বিক্রেতারা।অাজ রাজধানীর কয়েক জন পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানির সুযোগ দেয়ায় বাজারে সরবরাহ বাড়ছে। এতে চালের দামও কমেছে। বাজারে মোটা চাল কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। আগে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়। এদিকে কারওনবাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৫৮-৬০ টাকা ও নাজিরশাইল ৬৪-৬৬ টাকায় বিক্রি হয়। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর ফলে বন্দর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক চাল আমদানি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা জাতের চাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এসব চাল ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। আর রত্না জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ দিন আগে এসব চাল ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
এদিকে মিরপুর পিরেরবাগ খুচরা চাল বিক্রেতা সিপন খান বলেন, বেসি দামে কেনা তাই কমতে আরও সময় লাগবে। কারণ আগের চাল বিক্রি শেষ হলেই তারপর দাম কমা শুরু হবে। খুচরা বাজারে এখনো মিনিকেট বিক্রয় হচ্ছে ৬৬ টাকা থেকে ৬৮ টাকা আটাই ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা ।
এদিকে কারওন বাজার চাল ব্যবসায়ী চাদপুর রাইছ এজেন্সী মালিক বাচ্চু মিয়া বলেন, চালের দাম কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, যে হারে বারে সে হারে কমেনা। বাচ্চু চাল বাড়ার পিছনে চালমিল মালিকদের দায়ি করেন। বাচ্চু বলেন, ৫০ কেজি বস্তা মিনিকেট ৩ হাজার ২০০ টাকা হয়েছিল এখন ২০০ টাকা কমে ৩ হাজার টাকা হয়েছে। বাচ্চু বলেন, সবচেয়ে মুটা স্বর্নের দাম কমছে বেশি বস্তাতে প্রায় ৩০০ টাকা। এদিকে পিরেরবাগে চাল কিনতে আশা কামাল হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে চাল দাম কমছে কিন্তু খুচরা বাজারে আগের বেসি দামই রাখছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খুচরা বাজারে মনিটরিং দরকার। সর্বশেষ মঙ্গলবার বাজার পরিস্থিতি নিয়ে চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিন মন্ত্রী। সরকার ব্যবসায়ীদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে চালের দাম কমে আসবে বলে ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। এর পরই চালের দাম কমতে শুরু করে।
