পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ থেকে বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে।
বাসের টিকিট পাওয়া যাবে রাজধানীর গাবতলী, টেকনিক্যাল ও আশপাশ এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে। অপরদিকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাবে ১৫ জুন থেকে। আর লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস শুরু ১৯ জুন থেকে।
এবার টার্মিনাল ভবনের কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে লঞ্চে ওঠার বিধান করা হয়েছে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, ২২, ২৩ ও ২৪ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি।
বাসের টিকিট বিক্রির বিষয়ে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও হানিফ পরিবহনের মালিক কফিল উদ্দিন বলেন, আমাদের সংগঠনের আওতায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলাচলকারী বাসের টিকিট বিক্রি শুরু করছি। তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জানান, আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এ জন্য ২৩টি কাউন্টার খোলা রাখা হচ্ছে। নারীদের জন্য একটি ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি কাউন্টার। তিনি বলেন, আজ ২১ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ জুন বিক্রি হবে যথাক্রমে ২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ জুনের অগ্রিমি টিকিট।
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক বলেন, লঞ্চ কোম্পানিগুলো ১৫ জুন থেকে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করবে। যাত্রীদের টিকিট নিয়ে লঞ্চে উঠতে হবে। এতে লঞ্চে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠছে কিনা তা নির্ধারণ করা যাবে। তিনি বলেন, ১৯ জুন থেকে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস শুরু হবে। ঈদের পর সাত দিন এ সার্ভিস চলবে।
এদিকে বাসের আগাম টিকিট বিক্রির সুবিধার্থে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, গাবতলীতে বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টারের সামনে শামিয়ানা টানানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে নৌযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ওয়ানওয়ে গাড়ি চলাচল ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক ও ঢাকা নদীবন্দর কর্মকর্তা গুলজার আলী জানান, চাঁদপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের যাত্রীরা সদরঘাট ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। তাদের সুবিধার্থে নতুন পাঁচটি গ্যাংওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
পন্টুন বাড়িয়ে ২২টি করা হয়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। পার্কিং স্পেস বাড়ানো হয়েছে।
