বর্তমানে ১০ লাখ বাংলাদেশি অনলাইনে কাজ করছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রতিবেদন অনুসারে অনলাইন কর্মীর সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এ ছাড়াও, আগামী ৩ বছরে আইসিটি খাতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সরকারের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক জানিয়েছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক মঙ্গলবার রাতে নিউইয়র্কের ওয়ারথনে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ইমপেক্ট সামিটে বক্তৃতা করছিলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য বর্তমান সরকার ২৮টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন, সকল সরকারি সেবার ৪০ শতাংশ আমরা ডিজিটাল উপায়ে প্রদান করছি এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৯০ ভাগ সরকারি সেবা ডিজিটাল উপায়ে প্রদানের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তাই, ডিজিটাল বংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান আমাদের অন্যতম এজেন্ডা। এ লক্ষ্যে নানামুখী প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসব।
পলক বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়নে আমরা ৪টি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি- মানবসম্পদ উন্নয়ন, সবার জন্য ইন্টারনেট, ই-গভার্নেন্স প্রতিষ্ঠা ও শিল্পের উন্নয়ন। ফলে, সবাইকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে বিগত আট বছরে আমরা অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, বিগত ৩ বছরে সকল সরকারি অফিসকে ইন্ট্রা-নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং বর্তমানে ইনফো সরকার-৩ ও কানেকটেড বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সারাদেশকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছি।
এ সকল কর্মকান্ড বাস্তবায়নে আমরা মোবাইল ফোন অপারেটর, এনটিটিএন ও আইএসপিসহ সবাইকে পিপিপি মডেলের আওতায় নিয়ে এসেছি।জিডেকা হেরি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রুয়ান্ডার যুব ও আইসিটি মন্ত্রী জিন ফিলবার্ট সেজিমনা, পাকিস্থানের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আনুশা রহমান খান ও টার্কসেল এর সিইও কান টার্জিগ্লু বক্তব্য রাখেন।
